ফাইনালি বন্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে আনঅফিসিয়াল মোবাইল😭



ফাইনালি বাংলাদেশে আনঅফিসিয়াল মোবাইল বন্ধ হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করে আসছে বাংলাদেশে আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, কারণ এই মোবাইল গুলো সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে দেশে আসি নাই সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে মানুষ বিভিন্ন মাধ্যমে আনঅফিসিয়াল মোবাইল এনে সেটা ব্যবহার করে সরকার এটা জানার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে বাংলাদেশে থাকা মোবাইল গুলো বন্ধ করে দিবে এবং পরবর্তীতে যেন আর কেউ আনঅফিসিয়াল মোবাইল এনে আমাদের দেশে ব্যবহার করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যেটা সত্য সেটা বলতেই হবে সরকার এটা সফল হতে পারছিলো না।

 

পরে একটা কোম্পানিকে এই দায়িত্ব দিয়েছে এবং তারা বলেছে যে ২১ সালের ভিতর তারা আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলোকে চিহ্নিত করে একটা একটা করে সবগুলো মোবাইল বন্ধ করে দিবে! তবে এখানে কিছু কিছু মোবাইলের ক্ষেত্রে কিছু কিছু সুযোগ দেওয়ার কথা সোনা যাচ্ছে তবে প্রকৃতপক্ষে এটা সিওর করে এখনও বলা যাচ্ছে না আসলে কোন আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলো একদমই বন্ধ হয়ে যাবে আর কোন মোবাইলগুলো সুযোগ দিবে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য, তবে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ যদি দেয় সে ক্ষেত্রে কি কি সুযোগ দিতে পারে বা কোন কোন মোবাইলের ক্ষেত্রে সুযোগগুলো দেয়া হতে পারে সেগুলো আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদেরকে একদমই ক্লিয়ার করে দিবো তাই একটু ধৈর্য ধরে পুরা ব্লগটা পড়তে থাকুন।


আচ্ছা প্রথমে আমরা জেনে নেই যে আনঅফিসিয়াল মোবাইল এবং অফিসিয়াল মোবাইল আসলে কাকে বলে!? অফিশিয়াল: মোবাইল হলো যে মোবাইল গুলো আমাদের দেশে বৈধ ভাবে এসেছে অর্থাৎ সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স এবং দেশে মোবাইল আমদানি করার যে নিয়ম গুলো রয়েছে এই নিয়মগুলো মেনে যে মোবাইল গুলো আমাদের দেশে আসছে এগুলোকে বলা হয় অফিসিয়াল মোবাইল। আনঅফিসিয়াল: আবার যে মোবাইল গুলো আমাদের দেশে অবৈধভাবে আসছে অর্থাৎ সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স বা দেশে মোবাইল আমদানি করার নিয়ম কানুন না মেনেই যে মোবাইল গুলো আমাদের দেশে আনা হয়েছে এগুলো হলো আনঅফিসিয়াল মোবাইল। অর্থাৎ আমাদের দেশে বিটিআরসি কর্তৃক IMEI নাম্বার যে মোবাইল গুলোতে নাই এগুলোই হলো আনঅফিসিয়াল মোবাইল।


সাধারণত অফিশিয়াল মোবাইলের থেকে আনঅফিসিয়াল মোবাইল এর দাম অনেকটা কম থাকে এবং একই ফিচার দুইটার ভিতরে থাকে। অফিশিয়াল মোবাইলের ভিতর যে ফিচার থাকে আনঅফিসিয়াল মোবাইল এর ভিতরে সেম টু সেম ফিচার থাকে সে ক্ষেত্রে দাম আনঅফিসিয়াল মোবাইল এর তুলনামূলক কম হওয়ার জন্য আমরা সবাই চেষ্টা করি আনঅফিসিয়াল মোবাইল ব্যবহার করার জন্য, কারণ এর আগে আনঅফিসিয়াল মোবাইল বন্ধ হচ্ছিল না যার জন্য মানুষ অফিসিয়াল মোবাইল কিনার থেকে আনঅফিসিয়াল মোবাইল কিনার দিকে একটু বেশি ঝুঁকে গেছিলো বাইরের কান্ট্রিতে পরিচিত কেউ থাকলে তাকে বলতো আমার জন্য একটা মোবাইল কিনে নিয়ে আয় দেশে আসলে টাকা দিয়ে দিবো বা আমি এখন টাকা দিয়ে দিচ্ছি অথবা কেউ আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে গিয়েও আনঅফিসিয়াল মোবাইল নিয়ে আসছে। অথবা মার্কেটে এভেলেবেল ছিলো। আপনি ইচ্ছা করলে যেকোনো ভাবেই আনঅফিসিয়াল মোবাইল অল্প টাকায় কিনে ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু এই সুযোগ এই সুবিধাটা এখন আমাদের দেশে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এখন থেকে আনঅফিসিয়াল মোবাইল যেগুলো রয়েছে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে পাশাপাশি এই দেশে আর কখনো আনঅফিসিয়াল মোবাইল বিক্রি করা যাবে না। 


এখন কথা বলা যাক এই আনঅফিসিয়াল মোবাইল আসলে কি নাগাদ বন্ধ হতে পারে সাধারনত ধরে নেওয়া যাচ্ছে ২১ সালের মাঝামাঝি দিকে সকল আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলো চিহ্নিত করে এর নেটওয়ার্ক ক্ষমতাকে একদমই বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে অর্থাৎ আপনার এই মোবাইলটা থাকবে এই মোবাইলে আপনার কোন সিমে নেটওয়ার্ক পাবে না এমন শুনতেছি যে আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলোতে ওয়াইফাই সিগন্যাল অফ করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আপনি সিমের ইন্টারনেট দিয়ে তো নেট চালাতে পারতেছেন না, সিম দিয়ে কথা বলতে পারতেছেন না, এসএমএস করতে পারতেছেন না, পাশাপাশি আপনি এই মোবাইল দিয়ে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন না। অর্থাৎ এই মোবাইলটা আপনার শুধুমাত্র অফলাইন গেম খেলার জন্য এবং ভিডিও দেখার জন্য ব্যবহার করতে হবে। এই মোবাইল গুলো একদমই অকেজো করে দিবে। মোবাইল দিয়ে যখন কথা বলা যাবে না মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট চালানো যাবেনা তাহলে ভেবে দেখুন এই মোবাইল গুলো আসলেই আমরা ব্যবহার করব কিনা 


এই মোবাইল গুলো আমাদের বাসায় পড়ে থাকবে ছেলেপেলেরা এগুলো নিয়ে খেলাধুলা করবে এছাড়া আর কোন অবস্থা থাকবে নাযদি সরকার এই মোবাইল গুলো কে পুনরায় রেজিস্ট্রেশন সুযোগ না দেয়। অর্থাৎ পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ যদি সরকার দেয় তাহলে এই মোবাইল গুলো হয়তো কিছু টাকা দিয়ে বা কিছু কাগজপত্র ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি সাবমিট করে আমাদের এই মোবাইল গুলো কে সরকার নতুন একটা আইএমইআই নাম্বার দিতে পারে, সে ক্ষেত্রে আমাদের এই মোবাইল গুলো আবারো বৈধ মোবাইল ধরা হবে তবে এক্ষেত্রে একটা লিমিটেশন আছে যে একজন ব্যক্তি এক থেকে দুইটা বা তিনটা মোবাইল এরকম রেজিস্ট্রেশন তার নামে করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে কি হচ্ছে আপনারা আমরা যারা পার্সোনালি আনঅফিসিয়াল মোবাইল কিনে চালাচ্ছি তারা কিন্তু এই সরকারের নির্দেশনা মেনে মোবাইল গুলো কে আনঅফিসিয়াল থেকে অফিশিয়ালি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবো। 


কিন্তু যাদের দোকান রয়েছে যারা এই আনঅফিশিয়াল মোবাইলের ব্যবসা করে তারা কিন্তু এটা করতে পারবে না, কারণ তাদের কাছে অনেকগুলো মোবাইল আছে তারা এতগুলো মোবাইল রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবে না। এখানে আর একটা বিষয় আছে কিছু মানুষ রয়েছে যারা বিদেশে থাকে বা আত্মীয়-স্বজনরা বিদেশে থাকে তারা বিদেশ থেকে মোবাইল কিনে দেশে আনছে এখন তারা আনঅফিসিয়াল এর কোথায় পড়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য কি নিয়ম রয়েছে,, সরকার বলছে এই মানুষগুলোর জন্য সুযোগ দেওয়া হবে যদি তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাগজপত্র থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের মোবাইল গুলো পুনরায় আনঅফিশিয়াল থেকে অফিশিয়াল করার সুযোগ দেওয়া হবে। সর্বশেষ বলতে গেলে মোবাইল কোন গুলো বন্ধ হবে, কবে বন্ধ হবে, বা রেজিস্ট্রেশন করার পুনরায় সুযোগ দিবে কিনা, এগুলোর সঠিক করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। 


যখন এটা শুরু হয়ে যাবে কার্যক্রম তখনই বোঝা যাবে নির্দিষ্ট করে যে প্রকৃতপক্ষে আমাদের মোবাইল আপনার মোবাইল বন্ধ হচ্ছে কি হচ্ছে না, বা কবে বন্ধ হচ্ছে এবং যারা বাইরের দেশ থেকে মোবাইল আনছেন তাদের মোবাইলগুলো রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেওয়া হবে কিনা, এটা অফিশিয়ালি এখনো নির্দিষ্ট করে কোন কিছুই সরকার জানায়নি সে ক্ষেত্রে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, এটা যখন কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে তখন অবশ্য সরকারিভাবে ঘোষণা আসবে সেই ঘোষণা অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারবো যে প্রকৃতপক্ষে কোন মোবাইল গুলো বন্ধ হচ্ছে আর কোন মোবাইল গুলো বন্ধ হচ্ছে না আমাদের রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পুনরায় দেওয়া হচ্ছে কিনা তখন আমরা এটা ক্লিয়ার হতে পারব।


এবার আসি শেষ কথায় আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলো বন্ধ করে দিলে সাধারণ মানুষের আপনার-আমার কতটুকু লাভ এবং কতটুকু ক্ষতি হচ্ছে, এখানে লাভ-ক্ষতির হিসাব করতে গেলে প্রথম পর্যায়ে ক্ষতির হিসাব টাই চলে আসবে। কারন আমাদের মোবাইল গুলো আমরা জেনে না জেনে যেকোনো ভাবে কিনে ফেলেছি এখন সরকার যদি এগুলোর সুযোগ না দেয় তাহলে আমাদের এই ভুলের খেসারত দিতে হবে অবশ্যই আমাদের মোবাইলগুলো অকেজো হয়ে যাবে কর্মক্ষম হয়ে পড়বে সে ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে আর কোন কাজ হবে না এগুলো আমাদের ফেলায় রাখতে হবে তাই এখানে অবশ্যই আমাদের অর্থদণ্ড যাচ্ছে। এবার লাভের দিক দিয়ে যদি বিবেচনা করি অবশ্যই এটা বড় ধরনের একটা পজেটিভ দিক। 


আনঅফিসিয়াল মোবাইল যখন বন্ধ হয়ে যাবে তখন আমাদের সামনে মাত্র একটা রাস্তা থাকবে সেটা হল: অফিশিয়াল মোবাইল। কারণ কেউ তখন আমাদের দেশে আনঅফিসিয়াল মোবাইল বিক্রি করতে পারবেনা আমদানি করতে পারবেনা! সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলেও আনঅফিসিয়াল মোবাইল কিনতে পারবেন না, ব্যবহার করতে পারবেন না, আগে অনেকেই আপনাকে অফিসিয়াল মোবাইল বলে আনঅফিসিয়াল মোবাইল ঢুকিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের কার্যক্রম আর তখন সম্ভব হবে না। পাশাপাশি বাইরের যে কোম্পানিগুলো ব্র্যান্ডগুলো রয়েছে তারা চেষ্টা করবে আমাদের দেশে মোবাইল এর ফ্যাক্টরি তৈরি করার জন্য সে ক্ষেত্রে তখন আমাদের দেশে মোবাইল তৈরি হওয়ার কারণে এত বেশি ভ্যাট ট্যাক্স দেওয়া লাগবে না যার জন্য তারা অল্প মূল্যে আমাদের জন্য ভালো মানের মোবাইল দিতে সক্ষম হবে।


 সবশেষে এতোটুকুই বলে যাবেন যে আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলো বন্ধ হচ্ছে এতে আপনি কতটুকু লাভ এবং কতটুকু ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমাদের আজকের এই লেখাটা যদি ইনফরমেটিভ হয়ে থাকে যদি আজকের এই লেখার ভিতর আপনি সঠিক তথ্য পেয়ে থাকেন অবশ্যই এটা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। পরবর্তীতে এরকম আরো আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে একদমই ভুলবেন না। ভালো থাকবেন,, নিজের খেয়াল রাখবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন